সৎ লোক বা ভালো মানুষ কাকে বলে? যে লোক গোপনেও খারাপ কাজ করে না, সেই সৎ লোক । সাধারণত মানুষ আইনের ভয়ে, পুলিশের ভয়ে ও লোক লজ্জার ভয়ে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে ।
কিন্তু ধরা পড়বে না বলে মনে করলে সুযোগ পেলেই মহাঅন্যায় করতেও পরোয়া করে না । প্রত্যেক মানুষেরই বিবেক আছে । কোনটা ভালো ও কোনটা মন্দ, তা বিবেকের বিরুদ্ধেই চলে ।নাফসের তাড়না ও দুনিয়ার লোভে তারা বিবেকের ধার ধরে না । সৎ লোক তারাই যারা বিবেকের বিরুদ্ধে চলে না তারা দুনিয়ার লোভকে ত্যাগ করার ক্ষমতা রাখে ।
এ ক্ষমতা তাদেরই থাকে যারা আল্লাহকে ও আখিরাতের শাস্তিকে ভয় করে । এরই নাম ইমান । ইমান ছাড়া সততার গুণ সৃষ্টি হয় না । রাজনৈতিক দলগুলো যদি ইমানদার ও সৎ লোক তৈরি করে এবং সৎ ও যোগ্য লোকদের এমপি বানায়, আর সরকার যদি সৎ ও যোগ্য লোকদের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করে, তবেই ইসলামি সরকার কায়েম হতে পারে ।
যেসব রাজনৈতিক দল ইসলামি সরকার কায়েম করতে চায়, তারা ইমানদার ও সৎ লোকদেরকে দলভুক্ত তাদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলে এবং যোগ্য লোকদেরকে দলে শামিল করে তাদেরকে ইমানদার ও সৎ বানানোর চেষ্টা করে ।
এভাবে চেষ্টা না করলে সৎ ও যোগ্য লোকের শাসন নিজে নিজেই কায়েম হতে পারেনা । সরকার যতবারই পরিবর্তন হোক না কেন, সৎ ও যোগ্য লোকের শাসন ছাড়া জনগণের কপাল বদলাবে না ।
দেশে গেরুয়া পতাকা নিয়ে মিছিল হয়েছে, কট্টর আর এস এসের পতাকা নিয়েও মিছিল হয়েছে, চট্টগ্রাম আদালতে স্পষ্প স্লোগান দেয়া হয়েছে ‘একটা একটা মুসলিম ধর, ধরে ধরে জবাই কর’, কিন্তু তখন একটা সুশীলও পোস্ট দেয়নি, একটা সুশীলও সুশীল বাণী প্রসব করেনি। এখন কালিমার পতাকা নিয়ে মিছিলের কারণে বাইতুল মোকাররম থেকে আজকে জ-ঙ্গী অপবাদে কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এ নিয়ে সুশীলরা আফসোস তো দূরে থাক, উল্টো কেউ কেউ আনন্দিত হচ্ছে।
আমাদের সংকটের জায়গাটা আসলে এখানেই পরিষ্কার হয়ে যায়। কারও ব্যাপারে সুস্পষ্ট অপরাধের অভিযোগ থাকলে তাকে ধরা হোক, কিন্তু ফ্যাসিস্টদের মতো আবারও ট্যাগ লাগিয়ে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, সাথে সেইসব সুশীলদের মুখে এক দলা ঘৃণামাখা থুথু নিক্ষেপ করছি।
যে আশংকা টা করতেছিলাম, বাংলাদেশ ২য় বার স্বাধীন হয়েছে ঠিকিই কিন্তু এদেশের মুসলিমরা স্বাধীন হয় নাই।
এক সরকার যাবে আরেক সরকার আসবে কিন্তু তোমার ভাগ্য পরিবর্তন হবে না, তুমি ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার পতাকা উড়াও কারো কোনো সমস্যা হবে না উল্টা মিডিয়া তোমাকে বাহবা দিবে,
হি’ন্দুরা গেরুয়া পতাকা উড়ালেও সমস্যা নেই এটা তাদের বাকস্বাধীনতা, তোমার ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা নেই কারণ কি জানো?কারণ, তুমি একজন মুসলিম, তুমি তো গোলামী জাতিতে পরিনত হয়েছো, তুমি কেনো আল্লাহর জমিনে আল্লাহ বড়ত্ব প্রকাশ করতে আসবা! তাদের অপরাধ তাদের হাতে কেন কালিমার পতাকা ছিলো,এই নাস্তিক মুরতাদরা শুনে রাখো এই দ্বীন আমার এই জমিন আমার আল্লাহর।
বার বার মনে করিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশের মুসলিমদের একমাত্র মুক্তির পথ হলো এখন “খেলাফত”এ জাতি যতো তাড়াতাড়ি এটা বুঝবে ততই তাদের কল্যাণ হবে।
যতদিন যমিনে পূর্ণ ইসলামী শাসন না আসবে, ততদিন আমাকে-আপনাকে জ-ঙ্গী ট্যাগ দিতেই থাকবে ওরা। এমনকি কোনো ইসলামী রাজনৈতিক দলও যদি গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসে,তাহলে তারাও ট্যাগ দিবে, তারাও গ্রেফতার করবে এই অযুহাতে যে, এভাবে দেশে সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেয়া হচ্ছে। তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারাও তখন এসব ট্যাগ লাগাবে।
সবাই কঠিন প্রতিবাদ করুন অনতিবিলম্বে এই ভাইদের কে মুক্তি দিতে হবে, বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন কলেজ ভার্সিটি ও মাদ্রাসা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করুন তারা দুইদিন পর আপনাকে আমাদের কেউ গ্রেফতার করবে নামাজ পড়ার জন্য রোজা রাখার কারণে..