আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠক/পাঠিকা Ummahtimes24.Com এর পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই অভিনন্দন।
আজ আমি হস্তমৈথুন- Musterbetion বিষয়ে লিখবো!
প্রথম কথা হলো হস্তমৈথুন- Musterbetion এটা কবিরা গুনাহ, কারণ আপনি যখন হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন আপনি যৌন উত্তেজনার বিভিন্ন চিন্তা মাথায় আনেন অবশ্যই।
আর ক্বওমে লূত/ জাতির খারাপ স্বভাব গুলোর মধ্যে একটি হলো হস্তমৈথুন- Musterbetion ।
যেমন দরুণ পর্নোগ্রাফী-Porngraphy/blue flim দেখা,পর্ণ এবং হস্তমৈথুন একি সুতায় গাতা।
প্রত্যেকে হস্তমৈথুন করার জন্য পর্ণ দেখেন, এটাই সত্য, এবং এটা মেনে নিতে হবে।
এখন আমার আলোচনার মূল বিষয় হলো তাহলে কিভাবে আপনি এই হস্তমৈথুন- Musterbetion ত্যাগ করবেন?
কিছু পয়েন্ট আকারে শেয়ার করলে হয় সুবিধা হয়।তো চলুন পোস্টের Main Topic এ যাই।
⭕নিয়ত ঠিক করুন⭕
প্রথমেই আপনাকে আপনার নিয়ত ঠিক করতে হবে, আপনি যে এই কাজ থেকে নিজেকে দুরে সরাতে আগ্রহী তা যথাযথ হচ্ছে কিনা ভাবুন।
আল্লাহ প্রতি ভয় রাখুন।
আপনি নিয়মিত পাপ করছেন,এটা নিয়ে অনু সূচনা করুন।দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন।
আমাকে এই কাজ ছেড়ে দিতে হবে।
এর কুফল এবং ক্ষতি গুলো নিয়মিত পড়ুন। মুখস্থ করার চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্যের ক্ষতি এবং স্বরণ শক্তি কমে যাচ্ছে আপনার এগুলো নিয়ে ভাবুন।
⭕দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ুন⭕
রাত জাগা থেকে বিরত থাকুন,দ্রুত ঘুৃমিয়ে পড়ুন।
আমার অনেক বন্ধুরা বলেছেন,রাত জাগলে আমাকে পর্ণ দেখার আগ্রহ তৈরী করে।এটা আসলেই।
যখন আপনার হাতে কোন কাজ থাকবেনা,অযথা অনলাইনে থাকবেন, তখন অবশ্যই আপনি পর্ণ দেখার চিন্তা করবেন।
আপনি হয়ত জানেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্ষুধা হলো যৌন ক্ষুধা।
আপনি যখন এটা নিয়ে একটু চিন্তা করবেন, তখন এটার মাত্রা আরো বাড়বে,আপনি সামনে এগুতে চাইবেন।
বেতপাত না হওয়া পর্যন্ত এটা আপনাকে অস্থির করে রাখবে।
তাই রাত জাগা থেকে বিরত থাকুন নিয়মিত।
⭕ভোরে ঘুম ভাঙলে দ্রুত বিচানা ত্যাগ করুন!
যখন ঘুম ভেঙে যায় তখনই দ্রুত বিচানা ত্যাগ করুন।কারন যখন আপনার ঘুম ভেঙে যায় তখন আপনার শরীরে একরকম একটা উস্নতা feel হবে!
গবেষণা বলছে এই সময়ে সকলের পুরুষদের পুরুষাঙ্গ লাফিয়ে উঠে এবং নারীর স্পর্শ পাওয়ার আশা করে,এবং তখন যৌন আখাঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
তাহলে এখন ভাবুন আপনার তো আর স্ত্রী নাই আর যদি থাকেও তাহলে সাথে নেই যে কারনেই আপনি হস্তমৈথুন- Musterbetion করার সংকল্প করে বসবেন আপনি না চাইতেও তখন যৌন তাড়নায় এসব করবেন,
তাছাড়াও এমনিতেও এটা অনেক সময় দেখা যায় যখন আপনি যখন অযথা বিচানায় শুয়ে আছেন,তখন আপনাকে শয়তান তাড়না করবে।
⭕ইনটারনেট ব্যবহার নীতিমালা!
আনলিমিটেড নেট ব্যবহার পরিহার করুন। যদি আপনার হস্তমৈথুন এবং পর্ণ দেখার আগ্রহ থাকে তাহলে রাতে স্মার্টফোন ফোন অন্য রুমে রেখে আসুন বা ঘুমার আগে দুরে রেখে ঘুমিয়ে পড়ুন।
ডাটা ইউজ করা কমিয়ে দিন।
অথবা দিনের বেলায় নেট ইউজ করুন,রাতে নেটে ডুকা বন্ধ করুন।
⭕খারাপ চিন্তা আসলে কি করবো?
এখন অনেকের মনেই এই প্রশ্ন টা আসে যে ভাই খারাপ চিন্তা মাথায় আসলে তখন কি করবো, এই সকল সমস্যার মূলে রয়েছে খারাপ চিন্তা, এটা দিয়ে সবকিছু শুরু হয় আসলে।
এটা মানুষের স্বভাবগত ভাবেই আসে।
খারাপ চিন্তা আসলে যখন আপনি একা থাকেন বা কোন টিনেজার মেয়ে আপনার চোখে পড়ে।
যেমন কোন একটা মেয়ে বোরকা পড়লে আপনি তার দিকে একবার তাকাবেন আর যদি মেয়েটা প্যান্ট শার্ট পড়ে তাহলে আপনি তার দিকে বারবার তাকাবেন এটাই নিয়ম।
প্রথমেই আপনি যেখানে ছিলেন সেখান থেকে নড়ে অন্য যায়গায় যান আপনি যদি রুমে একা থাকেন তাহলে বের হয়ে বাহিরে কোন বন্ধুদের সাথে সময় কাটান,এবং আসতাগফিরুল্লাহ পরতে থাকেন,জোরে আউজুবিল্লাহ পড়েন।
আর সকলেই একসাথে যখন এমনচিন্তা বা আলোচনায় লিপ্ত হন তখন কল্পনা করুন কবরের যেখানে আপনাকে একা থাকতে হবে এবং যিনার শাস্তি গুলো নিয়ে কল্পনা করুন।
নিয়মিত কোরআন পড়ুন , নিয়মিত সালাত আদায় করুন।
⭕একা থাকা থেকে বিরত থাকুন!
একাকিত্ব হলে শয়তান আপনাকে বিভিন্ন খারাপ কাজে আগ্রহ করে তুলবে।
তাই নির্যনে থাকা পরিহার করুন।
ভালো বন্ধু তৈরী করুন,যাদের সাথে ভালো সময় কাটানো যায়।অসৎ চরিত্রের বন্ধু ত্যাগ করুন।
⭕গার্লফ্রেন্ড বা নারী সঙ্গী পরিহার করুন⭕
আধুনিক যুগে এখন বেশিরভাগ যুবকের খুব কম বয়স থেকে গার্লফ্রন্ড থাকে।
আপনি বিপরীত লিঙ্গের সাথে সম্পর্ক রেখে কখনো হস্তমৈথুন ত্যাগ করতে পারবেন না।
আপনি যানেন যে হস্তমৈথুনের কারনে আপনার শরীরের কি কি ক্ষতি হচ্ছে, কত বড় বড় ক্ষতি হচ্ছে, এসব কিছু জানার পর এখন আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ হলো কিভাবে আপনি এসব থেকে বেঁচে থাকবেন।
যদি আপনার নিয়ত সহীহ হয় তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হবেন।
অনেকে বলতে পারেন আমার গার্লফেন্ড আছে, কিন্তু আমি হস্তমৈথুন করিনা,তাহলে আমি বলবো আপনার চিকিৎসা জরুরি।
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ এটা মানুষের স্বাভাবগত দিক।
আপনাকে ছোট ছোট গুনাহ গুলোর পথ বন্ধ করতে হবে,তাহলে আপনি বড় গুনাহ থেকে রক্ষা পাবেন।
⭕সামাজিক কাজ করুন⭕
অবসর সময়ে সামাজিক কাজ করুন, এতে আপনি শয়তানের ধোঁকা থেকে বাচবেন।
সামাজিক কাজ হতে পারে কারো সহযোগিতা করা,রোগী দেখতে যাওয়া,বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নেয়া।
ধর্মীয় কাজে নিজেকে যুক্ত করা,এটাও আপনাকে অশ্লীল চিন্তা ভাবনা থেকে রক্ষা করবে।
ব্যস্ততা আপনাকে আপনার গুনাহ থেকে বাঁচাতে পারে।
সর্বশেষ যে কথাটা বলেই আমার লিখার ইতি টানবো তা হলো:—যেসকল কাজ আপনাকে এই খারাপ কাজের দিকে আকর্ষণ করে তা পরিহার করুন।
সবগুলো একসাথে না পারলেও একটা একটা করুন।ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন।
ভবিষ্যত নিয়ে ভাবুন, স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবুন।
পরকাল নিয়ে ভাবুন।
আপনি যে গুনাহ করছেন, তা থেকে আপনি তৌওবা করার সুযোগ পাবেন কিনা!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন-আমিন।
শুভ কামনা সকলের তরে ভালো থাকুন সবাই সুস্থ থাকুন।ফি আমানিল্লাহ।