যে আমলে বিয়ে হতে পারে,বিয়ে হওয়ার আমল উম্মাহ টাইমস ২৪ ডটকম
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠক/পাঠিকা Ummahtimes24.Com এর পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই অভিনন্দন।
আজ আমি বিবাহের কিছু আমল সম্পর্কে জানাবো,
আমাদের অনেক ভাই বলে থাকেন,ভাই বিয়ে নিয়ে হয়,বিয়ে হচ্ছে না,অথবা বিয়ে বার বার ভেঙে যায়,ইত্যাদি আবার অনেক ভাই জ্বীন কিংবা যাদু টোনায় আক্রান্ত হয়ে বিয়ে করতে পারতেছেন না,
তাদের জন্য এই সকল আমল ও দু‘আ—আল্লাহর রহমতে আশা করি আন্তরিকতার সাথে যদি কোন ভাই এগুলোর উপর আমল করলে, বিবাহের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
বিয়ে হওয়ার আমল কুরআনে কারিম হতে দুটো দু‘আ:
١»رَبَّنَا هَبْ لَـنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامًا
উচ্চারণঃরব্বানা হাব’লানা মিন আজওয়া্যিনা ওয়াজুরর্যিইয়্যাতিনা ক্বুর্রাতা আ’য়্যুন,ওয়াজায়া’লনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমামা.
অর্থ: হে আমাদের রব! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন, যারা আমাদের জন্য চোখের শীতলতা হবে এবং আমাদেরকে মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন। [সুরা আল-ফুরক়ান, আয়াত: ৭৪]
(আয়াতে শুধু স্ত্রীর কথা বলা হলেও এটি স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হবে। আশা করা যায়, এই দু‘আর মাধ্যমে আল্লাহ নেককার জীবনসঙ্গী মিলিয়ে দেবেন।)
হযরত মুসা (আ.) ফেরাউনের অত্যাচারে যখন দেশছাড়া হয়ে বিদেশে ফেরারি জীবনযাপন করছিলেন। পুরো দুনিয়া তাঁর জন্য সংকীর্ণ হয়ে আসছিলো। তখন তিনি বিশেষ একটি দু‘আ আল্লাহর কাছে করেন।
٢»رَبِّ إِنِّيْ لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيْرٌ•(سورة قصص- ٢٤)
উচ্চারণঃ-রাব্বি ইন্নি লিমা আংজালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিং ফাক্বির।
অর্থ: (হে আমার) রব! আপনি আমার প্রতি যে-কল্যাণই অবতীর্ণ করেন, আমি তারই মুখাপেক্ষী। [সুরা ক্বাসাস, আয়াত: ২৪]
অতঃপর তাঁর বিয়ে হলো, রিযিকের সমস্যা দূর হলো এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা হয়ে গেলো। আমরাও চাইলে এই দু‘আ করতে পারি।
বিয়ের সমস্যা দূর হওয়ার জন্য সালাতুল হাজত পড়া:
কেননা পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ-ওহে, যারা ঈমান এনেছো! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো।’’ [সুরা আল বাকারাহ, আয়াত: ১৫৩]
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করবে, এরপর পূর্ণরূপে দুই রাকাত নামাজ পড়বে, আল্লাহ্ তার চাওয়ার বিষয় দান করবেন—শীঘ্রই অথবা কিছু কাল পর।’’ [ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ২৭৪৯৭; শাওয়াহিদের ভিত্তিতে হাদিসটি হাসান]
হুযাইফা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সমস্যায় পড়তেন, তখন নামাজে দাঁড়াতেন। [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৩১৯; হাদিসটি হাসান]
অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার পড়া:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আর, তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁর দিকে ফিরে আসো। তাহলে, তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় (মৃত্যু) পর্যন্ত (দুনিয়াতে) উৎকৃষ্ট ভোগ-উপকরণ উপভোগ করাবেন এবং প্রত্যেক (আমলকারী) মর্যাদাশীলকে (আখিরাতে) প্রাপ্য মর্যাদা দেবেন। আর যদি তোমরা বিমুখ হয়ে থাকো, তবে আমি তোমাদের উপর এক মহা-দিবসের শাস্তির আশঙ্কা করছি।’’ [সুরা হুদ, আয়াত: ০৩; ব্রাকেটে উল্লেখিত ব্যাখ্যা তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৪৩৬ ও তাফসিরে আদওয়াউল বায়ান হতে]
আল্লাহর বানী কুরআনুল কারিমে এসেছে, ‘‘(নুহ আ. বললেন) অতঃপর আমি বললাম, তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি দেবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’’ [সুরা নুহ, আয়াত: ১০–১২]
অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা:
একজন সাহাবি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছিলেন, তিনি তাঁর উপর সর্বদা দরুদ পাঠ করবেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘যদি তুমি তাই করো, তবে তোমার সকল চিন্তা-উৎকণ্ঠা দূর করা হবে (প্রয়োজন পূরণ হবে) এবং তোমার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২৪৫৭, হাদিসটি হাসান সহিহ]
আল্লাহর দরবারে আন্তরিকভাবে দু‘আ করা:
সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘দু’আ ব্যতীত কোনো কিছু ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত কোনো কিছু হায়াত বাড়াতে পারে না।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২১৩৯; হাদিসটি হাসান]
শেয়ার করে অবিবাহিত ভাইবোনদের সাহায্য করুন, ইন শা আল্লাহ