ড.মুহাম্মদ ইউনুস!
বাংলাদেশের ইতিহাসে বিগত ৯০ বৎশরে জন্ম নেয়া একমাত্র global Celebrity হলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস। শতকরা বাংলাদেশের ৮৩% লোক-ই জানে না কে এই ড.মুহাম্মদ ইউনুস!
পৃথিবীতে সব থেকে বেশি সম্মান-জনক পুরস্কার নোবেল, সেটা তো নিশ্চয়ই জানেন?
তবে সম্মানসূচক-Respectful হিসেবে নোবেল প্রাইজের পরে কোন কোন পুরস্কারের অবস্থান তা কি জানেন?
পৃথিবীতে সম্মানসূচক পুরস্কার-Respectful Award Of World,
১.নোবেল-Nobel.
২.অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড-American Presidential Award
৩.মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড-Markin Congressional Award
পৃথিবীর History তে উপরের সব গুলো পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ আছে বা ছিলেন সর্বমোট ১২ জন!তাহলে নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন পরের লাইনটা কি হবে,
হ্যা, সেই ১২ জনের একজন হলেন আমাদের এই প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ইউনুস।
লিও. মেসিকে নিশ্চয়ই চিনেন! যদি আমি বলি এই লিওনেল মেসি লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবের জন্য,বিশ্বাস হয়?না হলেও সত্য!
‘অলিম্পিক গেমস-Olympic Games’ পৃথিবীর সম্মানজনক-Respectful প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলো “মশাল বাহক-torch bearer” জাপানে অনুষ্ঠিত 2020 অলিম্পিকে “মশাল বাহক-torch bearer” ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস!
বর্তমান বিশ্বের নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের- leading intellectuals যেকোনো তালিকায় Top 10 এর ভিতরে থাকেন Professor ড. মুহাম্মদ ইউনুস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী-Nobel laureate”ড. ইউনুসের বিকল্প খুজে পাওয়া টা খুবই কঠিন,কিন্তু তিনি আমাদের এই বাংলাদেশের! এ বাংলায় আর এমন ইউনুস আসবে কিনা তা আজও সংশয়-পূর্ন!
মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেটস(পৃথিবীর সবথেকে ধনিদের একজন)তিনি নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবকে সম্পুর্ন “সিলিকন ভ্যালি-Silicon Valley” শহর দেখিয়েছিলেন।
অথচ কোর্টে ৮ম তলার এজলাশে তিনি যেদিন হাজিরা দিতে যেতেন সেই দিনই কোর্ট বিল্ডিং এর Left বন্ধ করে দিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা।
৮২ বছরের অশিতিপর এই আসামীকে প্রত্যেকবারই সিড়ি বেয়ে ৮ তলায় যেতে হত।আর এই রকম ঘটনা শুধু একবার না মোট ৪০ বারের মত ঘটেছে।
সারা World এর সর্বমোট 107 টি University-ইউনিভার্সিটি তে Mohammad Younus Center আছে। ঐ University-ইউনিভার্সিটি গুলো সেচ্ছায় তাদের উদ্যোগেই এই Center গুলো গঠন করেছে। এর Mejor কারণ হচ্ছে তাঁর Micro-finance -(মাইক্রো ফাইনান্স)। যেটা ডক্টর ইউনুস সাহেবকে এবং তিনার গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল-Nobel শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জঘন্য ভাবে ‘সুদখোর’ বলে গালি দেওয়া হয়/বারবার ডাকা হয় । কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দও করেন তাদেরও অধিকাংশই জানেনা যে,ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ-ব্যাংক তার নিজের প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকারও মালিকানা নাই,এবং কোন প্রকার শেয়ারও নাই।আর সেটা কখনোই ছিল না।
বিষয়টি আমার-আপনার কাছে আশ্চর্যান্নিত মনে হলেও কিন্তু এটাই সত্যি। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের মাইক্রো-ফাইনান্সের-Micro-finance-Micro-finance ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা যে,
এই ব্যবসায় নিজেরা/অন্য কেউ মালিকানা লাভ করতে পারবে না। সম্পূর্ণ Non-Profit তথা অলাভজনক।
এটাই হলো সামাজিক ব্যবসা- Social business। যার নির্দিষ্ট কোনো প্রকার মালিকানা নেই। এর গ্রাহক-রাই হলো এর পূর্ণ মালিক।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম যেই bank বিশ্বের অনুদানের টাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেটাই হলো এই গ্রামীণব্যাংক-Grameen Bank,আর এই কাজটি করেছিলেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস। নিজে এই প্রতিষ্ঠান করলেও তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান Grameen Bank- গ্রামীণ ব্যাংকে । বরং তার 25% মালিক সরকার, বাকি মালিক গরীব লোকেরা। নিজের প্রতিষ্ঠিত bank এ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস স্যার মাত্র 300$ স্যালারি তে চাকুরী করতেন।ড.ইউনুস স্যার যে শুধু নিজের জন্য ব্যক্তিগত কোন share রাখেননি তা কিন্তু নয়, বরং Company-কোম্পানীর গঠন এমনভাবে করেছেন যেন ভবিষ্যতে কোন ব্যাক্তি এর একক মালিক না হতে পারে। কোম্পানী ওরদিনাঞ্চে-অধ্যাদেশ 28 নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি এটিকে রেজিস্ট্রেশন করেন।
শুধু যে Grameen Bank – গ্রামীন ব্যাংকে তিনি Share রাখেননি তা নয়,George Soros -জর্জ সরোস,ও Telenor- টেলিনরদের মত Business Man দেরকে নিয়ে এসে Grameen Telecom- গ্রামীন টেলিকম এর মত এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেন। তাঁর কথা অনুযায়ী বাংলাদেশে telenor-টেলিনর আসে। তার কথা অনুযায়ী তার bilionere-বিলিয়নিয়ার বন্ধুরা এই দেশের উন্নতির জন্য found-ফান্ড দেন। তিনি grameen telecom-গ্রামীন টেলিকম foundation করেন। আর এই প্রতিষ্ঠান টি ও তিনি non profitable হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করেন। অনেকেই জানেনা Grameen Telecom গ্রামীন টেলিকমকে ও Grameen Bank এর মতো Non for profit কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। এই Company তে ও তিনি নিজের জন্য 1% share ও রাখেননি। তিনি চাইলে Easily 10-15% Share ব্যক্তিগত লাভের জন্য রেখে দিতে পারতেন। অথচ লভ্যাংশের এক পয়সাও যাতে তার কাছে না আসে, সেটা পরিপূর্ণ Sure করেন তিনি নিজেই।
তার গঠিত প্রতিষ্ঠান সরকার নিয়ন্ত্রিত Grameen Bank-গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো Interest এর হার এদেশে সর্বনিম্ন। অথচ স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হবে গ্রামীন ব্যাংকের মত Interest মনে হয় অন্য কোন Bnak নেয় না। আর Sure এই টাকার Profited-লাভ করেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস!
বাস্তবতা হলো এ দেশের মানুষ এই বিষয়ে কল্পনাও করতে পারেনা যে একজন মানুষ Business করবে অথচ ঐস্থান থেকে নিজে কোনো প্রফিট করবে না। এমন কথা আমরা কোন ভাবেই মানতে পারিনা। আমরা চিন্তা করি শুধু টাকা income এর কথা।
যেমনি ভাবে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন- টাকা Income এ আছে সুখশান্তি-happiness and peace, অন্যের উপকারে আছে restfulness-প্রশান্তি। ওনার ভাষায় ‘নিজের জন্য টাকা income করা হয়তো happiness, আর অন্যের Benefit করা হচ্ছে Super Happiness।
ড.ইউনুস সাহেব মনে করেন, সবাই যদি এককভাবে property র মালিক হতে থাকে তাহলে দেখা যাবে গরিব আরো গরিব হতে থাকবে,আর বড়লোক রা আরো Rich হয়ে যাবে।যার প্রতিফলন ঘটবে,world order-বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে যাবে। এই চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখেই মূলত তিনি এই সকল Non বা অলাভজনক industry’s তৈরী করে গেছেন, ব্যক্তিগত কোন Share রাখেননি।
এরকমটা কি আপনি ভাবতে পারেন?আমাদের দেশের যেকোনো Industry তে আপনারা দেখেন দেখবেন তাদের প্রায় সব শেয়ারই তাদের নিজেদের অথবা পরিবারের কারো কারো নামে ।
Industry’s এর কথা বাদ দেন, সাধারণত N.G.O গুলো দেখেন যেমন ব্র্যাক, ব্র্যাক এর প্রায় সব শেয়ারই ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের।শুধু তাই নয় বড় বড় Post এ পরিবারের Member রা আছে।
কিন্তু ইউনুস সাহেব এমন টা করেননি। তার প্রতিষ্ঠিত Industries এর কোন স্থানে নিজের বা ফ্যামিলির কোন সদস্যকে রাখেননি।
অথচ তিনি চাইলে এসব বিজনেসে নিজের ও ফ্যামিলির লোকজন রেখে ইজিলি billionaire হয়ে যেতে পারতেন।এটা খুবই simple ব্যাপার ছিল তার ও তার পরিবারের জন্য,এ জায়গায় অন্য কেউ হলে ঠিক এটাই করতো,যেখানে
তার প্রায় সব friends রা billionaire,Multi Billionaire,অথচ তিনি সেদিকে যাননি।
এখন অনেকের এই প্রশ্ন থাকতে পারে যে, তাইলে ডক্টর ইউনুসের ইনকাম সোর্স কী?
আমি নিশ্চিত যে তার সম্পর্কে এই টাও অনেকেই জানেনা যে।
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস হচ্ছেন পৃথিবীর One of the highest paid speakers। তার মানে হলো তিনি বিভিন্ন দেশে speech দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শুনার জন্য খরচ করতে হয় প্রায় $75k থেকে $1million ডলার এর মত। আবার কখনো কখনো আরো বেশী ও দিতে হয়।
বিশ্বের famous প্রতিষ্ঠান গুলো ওনাকে নিয়ে যান ওনার speech শুনতে।
ওনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের planning এর জন্যও ডাকা হয়।
2024 সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য Paris Olympics এর Organizing Committee-আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন হলেন ফ্রান্সের President ম্যাক্রো।
2026 সালে ইতালী Olympics এর জন্য ইতালীয়ানরা তাকে পাওয়ার জন্য তাদবির করছে। যাতে তিনি Advice দেন।
আর আমরা বাঙালিরা মনে করি Grameen Bank আর Grameen Telecom এর মত ওনার প্রতিষ্ঠিত ইন্ডাস্ট্রি থেকে তিনি টাকা পান। যেন গ্রামীন ব্যাংকের সুদগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনা নেই নাই,শুধু ডক্টর ইউনুস-ই নেয়। এরা কখনো প্রকাশ্যে স্বীকারই করে না যে, এগুলোতে তার ০.০১% মালিকানা নাই।
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব একটা University করতে চেয়েছিলেন আমাদের দেশে, কিন্তু Permission পাননি। একটা international মানের University হতো।ডক্টর ইউনুস বললে পৃথিবীর সেরা সেরা Professor রা এখানে চলে আসতো এসে ক্লাস নিয়ে যেতো। ওনার জন্য Bill Gates কিংবা American president ও তার ভার্সিটিতে speech দিতে চলে আসতো।
কিন্তু সেটা করার Permission তাকে দেয়া হয়নি। তাকে কোন University করতে দেয়া হয়নি।
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যারকে আপনি যতই জানবেন,ততই আপনার মনে হবে দেশ এবং জাতি হিসেবে আমরা বাঙালিরা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব কে পাওয়ার উপযুক্ত-ই মনে করিনা।
আচ্ছা একটা question করি, আপনারা কি জানতেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস স্যার যে Grameen Bank গ্রামীন-ব্যাংক বা Grameen Telecom গ্রামীন-টেলিকমের মত এত বড় ২টা প্রতিষ্ঠিত Industry তে তিনি নিজের জন্য কোনো মালিকানা রাখেননি? আসলে এই বিষয় গুলো আমাদেরকে জানতেই দেওয়া হয়নি,আমাদেরকে শুধু তাই জানানো হইছে যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী জানাতে চেয়েছিলেন।শুধু ই তিনার মতো এমন যোগ্য ব্যাক্তির নেগেটিভ বিষয় গুলো জানানো হইছে, কিংবা সত্য টা লুকিয়ে রেখে মিথ্যা এবং বানোয়াট কথাবার্তা প্রচার-প্রসার করছে!
আসুন যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান করতে শিখি.