কেন ইসলামে দাড়ি রাখা গুরুত্বপূর্ণ?

Photo of author

By Ummahtimes24

দাড়ি রাখার ইসলামী দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে বিভিন্ন মাজহাবের মতামত কী?



বিভিন্ন মাজহাবের মতামত

দাড়ি রাখা ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাদিস শরীফে দাড়ি রাখার উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন মাজহাবের আলেমগণ এই বিষয়ে কিছুটা ভিন্ন মতাবলম্বী হলেও মূলত সকলেই দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন।

বিভিন্ন মাজহাবের দৃষ্টিভঙ্গি

হানফি মাজহাব: হানফি মাজহাবের আলেমগণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন। তাদের মতে, নবী (সাঃ) দাড়ি রাখতেন এবং উম্মতকেও দাড়ি রাখার জন্য উৎসাহিত করতেন।

মালাকি মাজহাব: মালাকি মাজহাবের আলেমগণও দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন। তবে তারা হানফি মাজহাবের মতো বিস্তারিত আলোচনা করেন না।

শাফিই মাজহাব: শাফিই মাজহাবের আলেমগণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন এবং দাড়ির দৈর্ঘ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাদের মতে, দাড়ি মুখের মাঝখান পর্যন্ত বা তার চেয়ে বেশি লম্বা হওয়া উচিত।

হাম্বলি মাজহাব: হাম্বলি মাজহাবের আলেমগণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন এবং দাড়ির দৈর্ঘ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাদের মতে, দাড়ি কানের লোব পর্যন্ত বা তার চেয়ে বেশি লম্বা হওয়া উচিত।

মূল বিষয়গুলো

সুন্নত: সকল মাজহাবের আলেমগণই দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন।

দৈর্ঘ্য: দাড়ির দৈর্ঘ্য নিয়ে কিছুটা মতভেদ থাকলেও সকলেই দাড়ি রাখার পক্ষে।

কারণ: দাড়ি রাখার কারণ হিসেবে নবী (সাঃ)-এর সুন্নত অনুসরণ করা এবং মুমিনদের চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

আজকের সমাজে দাড়ি রাখার গুরুত্ব:

আজকের সমাজে দাড়ি রাখা আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একদিকে যেমন এটি একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড, অন্যদিকে এটি ধর্মীয় বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

দাড়ি রাখার গুরুত্বের কিছু দিক:

ধর্মীয় বিশ্বাস: ইসলামে দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করা হয়। অন্যান্য ধর্মেও দাড়ি রাখার একটি নির্দিষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাসীদের জন্য দাড়ি রাখা তাদের বিশ্বাসের প্রকাশের একটি উপায়।

সাংস্কৃতিক পরিচয়: অনেক সংস্কৃতিতে দাড়ি রাখা একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা। এটি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।

ব্যক্তিত্ব প্রকাশ: দাড়ি রাখার মাধ্যমে অনেকে তাদের ব্যক্তিত্বকে আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে চান। এটি তাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলে এবং তাদের নিজস্ব শৈলী প্রকাশ করে।

পুরুষত্বের প্রতীক: অনেক সমাজে দাড়ি রাখা পুরুষত্বের একটি প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

সুরক্ষা: ঠান্ডা আবহাওয়ায় দাড়ি মুখকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

So আজকের সমাজে দাড়ি রাখার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। এটি ধর্মীয় বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক পরিচয়, ব্যক্তিত্ব প্রকাশ এবং অন্যান্য কারণে জনপ্রিয়। তবে দাড়ি রাখার সময় সামাজিক চাপ, কর্মক্ষেত্রের নিয়ম এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি।

দাড়ি রাখার সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য কত?

ইসলামে দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা হলেও, দাড়ির সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট আয়াত বা হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ নেই। বিভিন্ন ইসলামি মাজহাবের আলেমগণ এই বিষয়ে কিছুটা ভিন্ন মতাবলম্বী হলেও, সাধারণভাবে দাড়ি রাখার উৎসাহিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন মাজহাবের দৃষ্টিভঙ্গি:

হানফি মাজহাব: হানফি মাজহাবের আলেমগণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন এবং দাড়ির দৈর্ঘ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন না।

মালাকি মাজহাব: মালাকি মাজহাবের আলেমগণও দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন এবং দাড়ির দৈর্ঘ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন না।

শাফিই মাজহাব: শাফিই মাজহাবের আলেমগণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন এবং দাড়ির দৈর্ঘ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাদের মতে, দাড়ি মুখের মাঝখান পর্যন্ত বা তার চেয়ে বেশি লম্বা হওয়া উচিত।

হাম্বলি মাজহাব: হাম্বলি মাজহাবের আলেমগণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন এবং দাড়ির দৈর্ঘ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাদের মতে, দাড়ি কানের লোব পর্যন্ত বা তার চেয়ে বেশি লম্বা হওয়া উচিত।


দাড়ির সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই।
সকল মাজহাবের আলেমগণই দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন।
দাড়ির দৈর্ঘ্য নিয়ে কিছুটা মতভেদ থাকলেও সকলেই দাড়ি রাখার পক্ষে।


আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করুন। তবে, সুন্নত অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন দাড়ি রাখা একটি ইবাদত। তাই, নিষ্ঠার সাথে দাড়ি রাখার চেষ্টা করুন।

দাড়ি কতটুকু রাখতে হবে? দাড়ি রাখা কি ওয়াজিব নাকি সুন্নত?

দাড়ি রাখা ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাদিস শরীফে দাড়ি রাখার উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে দাড়ি রাখা সুন্নাত নাকি ওয়াজিব, এই বিষয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে।

সুন্নাত কেন?

হাদিসের দলিল: হাদিস শরীফে নবী (সাঃ) দাড়ি রাখার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং নিজেও দাড়ি রাখতেন।

সাহাবায়ে কেরামের আমল: নবী (সাঃ)-এর সাহাবায়ে কেরামগণও দাড়ি রাখতেন।

ওয়াজিব কেন নয়?

কোনো স্পষ্ট আয়াত নেই: কোনো স্পষ্ট আয়াতে দাড়ি রাখাকে ওয়াজিব বলা হয়নি।

বিভিন্ন মাজহাবের মত: বিভিন্ন মাজহাবের আলেমগণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলে মনে করেন।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে দাড়ি রাখা সুন্নত। অর্থাৎ, দাড়ি রাখা নবী (সাঃ)-এর সুন্নত অনুসরণ করা। যদিও এটি ওয়াজিব নয়, তবে দাড়ি রাখা মুসলমানদের জন্য একটি পুরস্কারের কাজ।


কেন ইসলামে দাড়ি রাখা গুরুত্বপূর্ণ?



নবী (সাঃ)-এর সুন্নত: নবী (সাঃ)-এর সুন্নত অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ।

মুমিনের চিহ্ন: দাড়ি মুমিনদের একটি চিহ্ন।

পুরুষত্বের প্রতীক: অনেক সংস্কৃতিতে দাড়ি রাখা পুরুষত্বের একটি প্রতীক।

আল্লাহর সন্তুষ্টি: দাড়ি রাখলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুশি হন।

নবীগণের সাদৃশ্য: দাড়ি রাখার দ্বারা সকল নবীগণের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হয়।

শাফায়াত লাভ:দাড়ি রাখলে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফায়াত লাভ হবে।

আযাব মাফ:দাড়ি রাখলে কবরের আযাব মাফ হবে।


মানুষের দোয়া:দাড়িওয়ালার প্রতি মানুষের ধারণা ভাল থাকে এবং সে মানুষের দোয়া পায়।

সহজে চেনা যায়:অপরিচিত স্থানে দাড়িওয়ালা মুসলমান মারা গেলে, মুসলমান কিনা চেনার জন্য উলঙ্গ করে খাতনা দেখতে হয় না।

সৌন্দর্য্য বাড়ে:দাড়িতে চেহারার সৌন্দর্য্য বাড়ে এবং বীরত্বের পরিচয় বহন করে।

অন্ধকারে নুর হবে: কিয়ামতের অন্ধকারে মুমিনের দাড়ি নূরে পরিণত হবে।

নবী ও ওলীর সাথে সাক্ষাৎঃঈমান-আমল ঠিক থাকলে দাড়িওয়ালা ব্যক্তি নবী ও ওলীর সাথে সাক্ষাৎ ও হাশর হবে।

দাড়ি রাখলে অনেক পাপ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
দাড়ি ইসলামী সভ্যতার অন্যতম প্রতীক।

দাড়ি রাখলে মুনকার- নাকীরের সুওয়াল- জাওয়াব সহজ হয়।

লম্বা দাড়ি স্বাস্থের ক্ষতিকর জীবানু গুলোকে গলা ও সিনাতে পৌঁছতে দেয় না।

দাড়ি গলাকে শীত ও গরমের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখে।

দাড়ির অস্তিত্ব যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি করে, যা ডাক্তার দ্বারা প্রমাণিত।

দাড়ি রাখলে পাইরিয়ার মত মারাত্বক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

দাড়ি রাখলে সেভ করার অনর্থক সময় ও অর্থ অপচয় থেকে বাঁচা যায়।

দাড়ি দ্বারা গুণাহে জারিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

দাড়ি রাখার দ্বারা শারীরিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।

দাড়িতে ক্ষুর বা ব্লেড লাগালে, চোখের রগের উপর আঘাত লাগে। ফলে চোখের জ্যোতি কমে যায় এবং মুখের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। তাই দাড়ি রাখলে এই ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র (বুখারি শরীফ ১৩৫৬, মুসলিম শরীফ ২২৪২ এবং নাসায়ী শরীফ ৩৫৪)

Leave a Comment